ধানের পালুই এ আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর

2nd January 2021 2:31 pm বাঁকুড়া
ধানের পালুই এ আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ধানের পালুই এ আগুন লাগা কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ গেরুয়া ও  ঘাসফুল শিবিরের।

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে বাঁকুড়া জেলায়।গতকাল রাতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির কেন্দুয়াডিহি গ্রামের দুই ভাগচাষির  পাঁচটি  ধানের পালুই এ আগুন লাগা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে পুড়ে ছাই কৃষকের সারা বছরের খাদ্যশস্য। ভাগ চাষীদের দাবি কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তাদের ধানের পালুই এ  তা তাদের জানা নেই। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আসরে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে এই দুজন ভাগচাষী এবং জমির মালিক তারা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী। বিজেপি করার অপরাধেই তাদের ধানের পালুই এ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে জমির মালিক ও ভাগ চাষিরা তৃণমূলের সন্ত্রাসে ভীতসন্ত্রস্ত, তাই তারা সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের তরফে বিজেপির তোলা  সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জমির এক মালিক তিনি দাবি করেছেন এটা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। যদি কেউ বা কারা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তাদেরকে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসাবে আখ্যা দিচ্ছেন তবে তাদের কিছু করার নেই। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয় বলেই দাবি করেছেন। জমির মালিকের এই কথার উপর ভিত্তি করেই বিজেপি কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবির ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।